নারী বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের পথে বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। বিশাখাপত্তমে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে শেষ ওভারে হেরে গেছে নিগার সুলতানার দল। দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল মাত্র ৮ রান, হাতে ছিল ৩ উইকেট—আর সেটিই ডে ক্লার্ক ৩ বল হাতে রেখেই পূরণ করে জয় ছিনিয়ে নেন।

বাংলাদেশের হয়ে শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন অভিজ্ঞ স্পিনার নাহিদা আক্তার। তার করা প্রথম বলেই চার মেরে চাপ কমান ক্লার্ক। দ্বিতীয় বল ডট হলেও তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ২৯ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংসের মাধ্যমে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে নজর কাড়লেন স্বর্ণা

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে তোলে ২৩২ রান। ওপেনাররা সাবধানী সূচনা এনে দেন দলকে। রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক ও ফারজানা হক উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৫১ রান। ঝিলিক ৫২ বলে ২৫ ও ফারজানা ৭৬ বলে করেন ৩০ রান।

তবে ইনিংসের গতি এনে দেন শারমিন আক্তার (৫০) ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি (৩২)। এই জুটিতে আসে ৭৭ রান। মিডল অর্ডারে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ঝড় তোলেন স্বর্ণা। মাত্র ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন, যা বাংলাদেশের নারী ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম। ইনিংস শেষে তিনি অপরাজিত ছিলেন।

শেষ দিকে রিতু মণির ৮ বলে ১৯ রানের ঝড়ো ইনিংস দলকে পৌঁছে দেয় লড়াই করার মতো স্কোরে।

বল হাতে শুরুটা দুর্দান্ত, কিন্তু...

২৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধাক্কা দেন নাহিদা আক্তার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তাজমিন ব্রিটসকে ফেরান তিনি। এরপর ৭৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ।

তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় প্রোটিয়ারা। মারিয়ানা কাপ (৫৬) ও চার্লি ট্রায়ন (৬২) ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৮৫ রানের জুটি। শেষদিকে ডে ক্লার্কের ২৯ বলে ৩৭ রানের হার না মানা ইনিংসে ভর করে ৪৯.৩ ওভারে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

সেমির পথ কঠিন বাংলাদেশের

এই হারে তিন ম্যাচে দুই পরাজয়ে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল সম্ভাবনা অনেকটাই কঠিন হয়ে গেল। সামনে রয়েছে আরও বড় চ্যালেঞ্জ। তবে স্বর্ণা, শারমিনদের ব্যাটিং ও নাহিদার শুরুটা এই দলকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে আগামী লড়াইয়ের জন্য।