২০২২ কাতার বিশ্বকাপে দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষা শেষে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করে ইতিহাস গড়েছিলেন লিওনেল মেসি। সেই জয়ের পর থেকেই একটি প্রশ্ন তাকে তাড়া করে ফিরছে— ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে কি আবারও মেসিকে দেখা যাবে?
সম্প্রতি এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, সব কিছু নির্ভর করছে নিজের ফিটনেসের ওপর। পুরোপুরি ফিট থাকলে আগামী বিশ্বকাপে খেলতে চান তিনি।
মেসির ভাষায়, যদি শরীর সাড়া দেয় এবং আমি ভালো অবস্থায় থাকি, তাহলে অবশ্যই খেলতে চাই। এটি দারুণ হবে যদি আবারও বিশ্বকাপের মঞ্চে নামতে পারি। তবে আমি এখন দিন দিন করে বিষয়টি মূল্যায়ন করছি। আগামী মৌসুমের প্রাক-প্রস্তুতিতে যদি নিজেকে শতভাগ ফিট মনে হয়, তখনই সিদ্ধান্ত নেব।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামি ক্লাবে খেলছেন মেসি। ইউরোপ ছেড়ে আমেরিকায় নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে আসার পর থেকেই অনেকেই ধারণা করেছিলেন, ২০২৬ বিশ্বকাপের (যা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হবে) প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি তিনি মায়ামির সঙ্গে নতুন করে তিন বছরের চুক্তি করেছেন, যা তার সম্ভাব্য অংশগ্রহণের গুঞ্জন আরও জোরালো করেছে।
বিশ্বকাপ-জয়ী এই কিংবদন্তি এখন পর্যন্ত পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলেছেন। জাতীয় দলের হয়ে ১৯৫ ম্যাচে রেকর্ড ১১৪ গোল করেছেন তিনি। যদি ২০২৬ সালের আসরে অংশ নেন, তাহলে সেটিই হবে ষষ্ঠ বিশ্বকাপে তার মাঠে নামা, যা নিজেই এক ঐতিহাসিক অর্জন।
২০ বছরের বেশি সময়ের ফুটবল ক্যারিয়ারে মেসি জয় করেছেন ৮টি ব্যালন ডি’অরসহ প্রায় সব বড় ট্রফি। কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর নিজের স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। তবে তবুও জাতীয় দলের হয়ে আরও একবার শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জই এখন তার সামনে সবচেয়ে বড় প্রেরণা।
মেসি বলেন, আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, কিন্তু আবারও সেই সাফল্য পুনরাবৃত্তি করতে পারা হবে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। জাতীয় দলের হয়ে খেলা সবসময়ই বিশেষ, আর বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে তা আরও বড় গর্বের।