বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লাল কার্ড দেখায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিশ্বকাপের শুরুতে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ফিফার সিদ্ধান্তে সেই শঙ্কা দূর হয়েছে। তিন ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকলেও এর মধ্যে দু’টি শাস্তি এক বছরের জন্য স্থগিত রেখেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। ফলে পর্তুগিজ তারকার বিশ্বকাপ অভিযানে কোনো বাধা থাকছে না।
ফিফা মঙ্গলবার প্রকাশিত সিদ্ধান্তে জানায়, রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ‘সহিংস আচরণ’-এর অভিযোগে রোনালদোকে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচ তাকে অবশ্যম্ভাবীভাবে ভোগ করতে হবে। বাকিগুলো ভবিষ্যতের অপরাধের ওপর নির্ভর করছে। আগামী এক বছরের মধ্যে একই ধরনের আচরণ করলে স্থগিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
এর আগেই একটি ম্যাচে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। আর্মেনিয়ার বিপক্ষে ৯–১ গোলের জয়সূচক ম্যাচটিতে খেলেননি রোনালদো, যেখানে পর্তুগাল নিশ্চিত করে আগামী বছরের বিশ্বকাপের টিকিট। এর ফলে কার্যত তার ওপর আর কোনো তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞা নেই।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে কনুই দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় সরাসরি লাল কার্ড দেখা রোনালদোর ক্যারিয়ারে এটি প্রথম আন্তর্জাতিক লাল কার্ড। তার দীর্ঘ জাতীয় দল ক্যারিয়ার বিবেচনায় ফিফা কিছুটা নমনীয়তা দেখিয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে রোনালদো নিজেও আগেই জানিয়েছেন, আসন্ন বিশ্বকাপই হতে যাচ্ছে তার শেষ আসর। রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বমঞ্চে নামতে চলা এই সুপারস্টারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ায় পর্তুগাল শিবির এখন স্বস্তিতে।
বিশ্লেষকদের মতে, মাঠে রোনালদোর উপস্থিতি পর্তুগালের জন্য শুধু কৌশলগত দিক থেকেই নয়, মানসিক দিক থেকেও বড় সহায়তা হবে। বাছাইপর্বে কিছুটা ওঠানামা থাকলেও রোনালদো দলে থাকলে পর্তুগালের আক্রমণভাগে বাড়তি ধার আসে।
ফিফার সিদ্ধান্তে রোনালদো মুক্ত হওয়ায় এখন পুরো মনোযোগ দিতে পারবেন তার শেষ বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে। ফুটবল দুনিয়া চোখ রাখবে ২০২৬ সালের এই মহাযজ্ঞে ৪০ বছর বয়সী এ তারকা তার শেষ নাচ কেমন দেখান সেই অপেক্ষায়।
