বাংলাদেশ আজ নেপালের বিপক্ষে দুটি গোল হজম করেছে। দুটিতেই ডিফেন্ডারদের দায় রয়েছে। হংকংয়ের বিপক্ষেও ডিফেন্ডারদের ভুল ছিল। ডিফেন্সের বারবার ভুল কেন? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর কিংবা সমাধান যেন কোচের কাছে নেই, ‘আমি শতবার অনুশীলন করিয়েছি। এটা ফুটবলে হতে পারে। এটা বারবারই হচ্ছে, হতাশাজনক।’

গতকাল ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া শেষ মুহূর্তে গোল হজমের জন্য নিজেদের দায়ী করেছিলেন। ৯০ মিনিটের পর মনোযোগ হারান ফুটবলাররা। এটা কি ফুটবলাদের মানসিক কোনো সমস্যা? এ নিয়ে কোচের মন্তব্য, ‘আমি বলব না মানসিক সমস্যা। আমরা ভিডিও বিশ্লেষণ করব, ভুলগুলো সংশোধন করব এবং এখন যে চার দিন সময় আছে, ভারতের বিপক্ষে যেন এমন না হয়, সেই প্রস্তুতি নেব।’

বাংলাদেশের দুই গোলের একটি হয়েছে হামজার অসাধারণ নৈপুণ্যে। আরেকটি রেফারির পেনাল্টির সিদ্ধান্তে। এই দুই গোলের বাইরে বাংলাদেশ তেমন গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। এই বিষয়ে একমত পোষণ করে কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু স্পষ্টত গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। আমি দায় স্বীকার করছি, আমরা আরো ভালো খেলতে পারতাম। বিশেষ করে প্রথমার্ধে। নেপালের মতো লো ব্লক দলের বিপক্ষে খেলা সহজ নয়।’

হামজা ও জায়ান আহমেদ মাঠে হালকা চোট পেয়েছিলেন। মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার পর ডাগ আউটে আইস ব্যাগ ছিল তাদের পায়ে। এনিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের মনে শঙ্কা জাগে হামজা-জায়ান ভারত ম্যাচে খেলতে পারবেন তো? 

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোচ হ্যাভিয়ের সেটা নিশ্চয়তা দিয়েছে, ‘তাদের আঘাত গুরুতর কিছু নয়, স্বাভাবিক রয়েছে। ভারত ম্যাচ না খেলার মতো বিষয় নেই, তারা খেলবে।’

নেপালের একাদশে খেলা ৫ জন ফুটবলার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলেন। ফর্টিজে খেলা অনন্ত তামাং বাংলাদেশের জয় কেড়ে নিয়েছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশের কোচের মন্তব্য, ‘বিষয়টি আমি সেভাবে মনে করি না। আমরা জয়ের লক্ষ্যেই নেমেছিলাম এবং আজ আমাদের জেতা উচিত ছিল। বাস্তবতা হলো আমরা পারিনি, আজ যা হয়েছে তা মেনে নিতে হবে। কিন্তু খুব নেতিবাচক হওয়া ঠিক নয়। এখন ভারত ম্যাচে মনোযোগ দিচ্ছি।’