একসময়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেললো বাংলাদেশ। রবিবার (১৬ নভেম্বর) শেষ ম্যাচটি ৮-৩ গোলে জিতেছে সফরকারীরা। ৩-০ তে সিরিজ জিতে পাকিস্তান বিশ্বকাপের বাছাইয়ে জায়গা করে নিয়েছে। তিন ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ গোল হজম করেছে ২৬টি। আর প্রতিপক্ষের পোস্টে দিয়েছে ৩টি। পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন অসহায় আত্মসমর্পণ নিয়ে কেউই খুশি হতে পারে নি।
ডাচ কোচ সিগফ্রাইডের অধীনে রকিবুল-রেজাউলরা টার্ফে প্রতিপক্ষের সঙ্গে ঠিকমতো লড়াই করতে পারেনি। সাম্প্রতিক সময়ে এমন অপেক্ষাকৃত ‘দুর্বল’ পাকিস্তান দলও কেউ দেখেনি। যদিও তারা দুই ডজনের বেশি গোল দিয়েছে। কিন্তু দলে শাহবাজ-তাহির জামানদের মতো হাইপ্রোফাইল খেলোয়াড় দেখা যায় নি। কিংবা কাছাকাছি মানের। এই দলটির বিপক্ষে নিজেদের টার্ফে অন্তত লড়াই করার সামর্থ্য দেখানোর সুযোগ ছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু তা হলো কই।
মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের খেলা দেখেছেন সাবেক কোচ মাহবুব হারুন। লাল সবুজ দলের খেলা দেখে হতাশা প্রকাশ করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সাধারণ আমরা ক্লাব হকির জন্য ভারত ও পাকিস্তান থেকে অনেক সময় খেলোয়াড় নেই। এই দলটির খেলা দেখে তেমন কাউকেই দেখলাম না নেওয়ার মতো। ভালো স্টিকওয়ার্কও দেখলাম না। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা পাকিস্তানের ইতিহাসে দুর্বল জাতীয় দল। আর এই দলটির কাছে আমরা ২৬ গোল হজম করেছি!’
এরপরই যোগ করে বলেন, ‘আমি বলছি না পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা জেতা উচিত। তবে ডাচ কোচ আছে। তার অধীনে এতো গোল কেন হজম করবো। তাহলে বিদেশি কোচ কেন দেওয়া হলো। আমাদের আশিক, বিপ্লব ও মামুন তো ছিলই। ওরা তো বাংলাদেশ দলটাকে সামলাতে পারতো। এতো গোল হজম আসলে মেনে নেওয়া যায় না। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সেভাবে হয়নি। আমার মনে হয় গোল আরও কম হলে ভালো হতো।’
বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জাতীয় দলের সাবেক তারকা হারুন জানালেন, ‘বাংলাদেশ দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের কিছুটা অভাব দেখতে পেয়েছি। যদিও নানান অজুহাতে ইমন, মিমো, নাইমদের বাদ দেওয়া হয়েছে। আশরাফুল-শিতুল যারা খেলেছে তাদের ফিটনেসের বেশ অভাব দেখতে পেয়েছি। রকিসহ অন্য যারা অনূর্ধ্ব ২১ দলের খেলোয়াড় ছিল। তাদের মধ্যে টানা অনুশীলন করার কারণে ক্লান্তির ছাপ ছিল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দল একটি দল হয়ে সব সময় খেলতে পারেনি। এছাড়া ডাচ কোচ পজিসন বদলে কাউকে কাউকে খেলিয়েছেন। এটা আমার দৃষ্টিতে ভালো হয়নি। সবুজ ফরোয়ার্ড পজিসনে ভালো খেলতে পারেনি।’