সান সিরোতে রোববার (১৬ নভেম্বর) ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ২টায়।
চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা সবশেষ বিশ্বকাপ খেলেছিল ২০১৪ সালে। এরপর মাঝে একবার ইউরো জিতলেও, গেলো দুই আসরে বিশ্বকাপের মূলপর্বে কোয়ালিফাই করতে পারেনি আজ্জুরিরা। ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা না খেলাও ঝুলছে সুঁতোয়। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ‘আই’ গ্রুপে আছে ইতালি। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান দ্বিতীয়। ৭ ম্যাচে ৬ জয় আর ১ হারে ১৮ পয়েন্ট তাদের। অন্যদিকে নরওয়ে আছে টেবিলের শীর্ষে। তাদের পয়েন্ট ২১। গোল ব্যবধানটা অনেক বেশি এগিয়ে রেখেছে ইতালি থেকে। ৭ ম্যাচে তারা করেছে ২৯ গোল।
এমন সমীরণে মুখোমুখি হবে টেবিলের শীর্ষ দুই দল। সরাসরি খেলা অনেকটাই অসম্ভব ইতালির জন্য। সেটা মেনেই নিয়েছে তারা। তবে গ্রুপের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে নিজেদের সেরা ফুটবল খেলতে মুখিয়ে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তারকা সমৃদ্ধ দল হলেও, বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নিজেদের সেরা ছন্দ দেখাতে পারেনি তারা। গোলপোস্টে দোনারুম্মা, লরেনজে, মানচিনি, ডিমারকো, বারেল্লা, লুকাতেল্লি, ক্রিস্টিয়ানসেনরা ঠিকই ক্লাবের হয়ে নিয়মিত পারফর্ম করছেন। কোচও আশাবাদী প্লে অফের আগে সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলার। ম্যাচের আগে গেনারো গাত্তুসো বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বশীল ফুটবল খেলতে হবে। আমরা জয়ের জন্য মরিয়া সেই বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। এটাও বুঝতে হবে আমরা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের কোন স্তরে আছি। বিচক্ষণভাবে খেলতে হবে আমাদের। সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে হলে, অনেক বড় ব্যবধানে জয় পেতে হবে। সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি না। প্লে অফের আগে জয় পেলে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
’ হলান্ডের নেতৃত্বে ২৮ বছর পর সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ তৈরী হয়েছে নরওয়ের। সবশেষ ১৯৯৮ আসরে খেলেছিল তারা। এখন পর্যন্ত ইউরোপিয়ান অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন ম্যানচেস্টার সিটি তারকা হলান্ড। আরও একটা লড়াই। তবে কম ব্যবধানে হারলেও সরাসরি বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হবে তাদের। সবশেষ ৫ ম্যাচে কোনো হার নেই নরওয়ের। নুসা, সরলথ, আজের, বোজরকানরা আছেন ছন্দে। মূল দায়িত্ব নিতে চান ছন্দে থাকা হলান্ড। তিনি বলেন, ‘এটা গ্রুপ পর্বে আমাদের শেষ ম্যাচ। আমরা কোয়ালিফাই করতে সর্বোচ্চ দিয়ে খেলব। আমি নিজে বাড়তি দায়িত্ব নিতে চাই। ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ এসেছে। এটা গর্বের বিষয়। আমরা সেরা ফুটবল খেলতে চাই।’
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এখন পর্যন্ত ১৪ গোল করেছেন হলান্ড।