অক্টোবরের আকাশ যেমন অজানা, তেমনই মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটের আচরণ বিদেশি ক্রিকেটারদের কাছে প্রায়ই চ্যালেঞ্জের মতো। পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা মিরপুরের উইকেট নিয়ে অতীতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ওয়ানডে সিরিজে শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ, কিন্তু উইকেট নিয়ে চলছিল চর্চা।

এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চট্টগ্রামে অবস্থান করছে দুই দল। ভেন্যুটি হচ্ছে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়াম, যেখানে উইকেটের রং সবুজ এবং হালকা ঘাসও রয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তা জানান, স্পোর্টিং উইকেট করার চেষ্টা করা হয়েছে, ফলে ১৭০ থেকে ২০০ রান পর্যন্ত স্কোর সম্ভাবনা রয়েছে।

গতকাল টার্ফ ম্যানেজমেন্টের প্রধান টনি হেমিং এবং চট্টগ্রামের পিচ কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু উইকেট পরিদর্শন করেছেন। তাদের দেখা যায় লম্বা সময় মাঠে দাঁড়িয়ে আলোচনা করতে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রধান কোচ ড্যারেন সামিও চট্টগ্রামের এই ভেন্যুতে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, স্পোর্টিং উইকেটের কারণে। এছাড়া, বাঁ-হাতি স্পিনার আকিল হোসেনও ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি দলে যুক্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আকিলের স্পিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যদিও মিরপুরের কালো উইকেটে তিনি প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি।

চট্টগ্রামের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ মুখোমুখি হবে ২৭, ২৯ ও ৩১ অক্টোবর। ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। ভক্তরা আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন হালকা সবুজ উইকেটে ব্যাট-বলের লড়াই দেখতে।

ইএফ/